রাঙামাটি শহরতলীর আসামবস্তিতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল থেকে পার্বত্য এ শহরের একমাত্র গণপরিবহণটির চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার সকালে রাঙামাটি শহরে অটোরিকশা না চলায় শহরবাসী যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিনেদুপুরে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে চাঁদার টোকেন না থাকায় একটি অটোরিকশা জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ক্ষতিগ্রস্ত চালক জানান, চার-পাঁচ জন সশস্ত্র পাহাড়ি যুবক গাড়ি আটকে তাকে মারধর শেষে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।
ওই ঘটনার পর রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন অটোরিকশার চালক ও মালিকেরা। সেই ৪৮ ঘণ্টা আজ রোববার শেষ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে নতুন করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু আসামবস্তির ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আল্টিমেটাম ঘোষণার পরও প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে সন্ত্রাসী আবারও নিরীহ চালকের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করল। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি।’এ ঘোষণার পর রাতেই সমিতির পক্ষ থেকে রাঙামাটি শহরে মাইকিং শুরু হয়।
মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘শনিবার রাত ১০টার কিছু পর আসামবস্তি-রাঙাপানি সড়কের এলএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নিয়ে ফিরছিলেন সমিতির কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য চালক আবুল হোসেন। পাম্প পেরনোর একটু পরই অটোরিকশায় ঢিল ছোঁড়া হয়। তখন চালক পায়ে আঘাত পান এবং গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চালক দ্রুত পালিয়ে বাঁচেন। ঘটনা শোনার পরপরই আমরা খবর পেয়ে সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে, আমরা লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি। এখন তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
জেএন/কেকে