গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ দুই জনের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও কিছুই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।
তিনি বলেন, কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো তাদের কোনো অগ্রগতি নেই। তাদের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে তাদের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসা চলছে। দুজনেরই ইনহ্যালেশন বার্ন রয়েছে। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। আজ দুপুরে একটি মেডিকেল বোর্ড বসার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জিএমপির চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে মঞ্চের পূর্ব পাশে ছোট উদ্বোধন মঞ্চে ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন নেওয়া হয়। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়েনি। পরে পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। সেখানে গিয়ে কেক কাটেন এবং বক্তব্য পর্বে অংশ নেন।
অন্যদিকে বেলুনগুলো নেওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে সবগুলো বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আহতরা নিচে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দগ্ধ পাঁচ জনকে আনা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
তারা হলেন- কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন। এদের মধ্যে মোশারফ হোসেন ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বেলুন বিস্ফোরণে আবু হেনা রনির দেহের ২৫ শতাংশ এবং কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের দেহের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
জেএন/কেকে