মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা উস্কানিমূলক কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় শুরুতেই বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে জবাব চেয়েছিল এবং এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তখন মিয়ানমার জানিয়েছিল- মর্টারশেলটি ভুলক্রমে বাংলাদেশের সীমানায় গিয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা সতর্ক থাকবেন। আবারও একই ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে খতিয়ে দেখছে।
তিনি আজ রোববার সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, এদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজের অস্তিত্বের মতো। বাংলাদেশ চায়, যে কোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালও লন্ডনে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তা ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসে সাহায্য চাওয়াই বিএনপির মেরুদণ্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই, নতজানু হওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির। তারা কথায় কথায় দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে আর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে। বিএনপি মূলত নতজানু, ভঙ্গুর, পরনির্ভর একটি রাজনৈতিক দল।
বিএনপি দেশকে পরনির্ভরশীল ও নতজানু দেখতে চায় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় দেশকে একটি মর্যাদাশীল, সমৃদ্ধ অবস্থানে উন্নতি করতে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা একদিকে বলছে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, আবার যখন সুযোগ পায় তখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন না করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে। পুলিশকে টার্গেট করে নিয়েছে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিস্কি। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতকালে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং দু’দেশের মধ্যকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা হয়।
জেএন/কেকে