আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের নতুন করদাতাদের বাড়তি সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রথমবারের মতো যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন, তারা জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাবেন। তবে পুরাতন করদাতাদের আগের মতোই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
এনবিআরের আয়কর পরিপত্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর কমিশনার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন করদাতাদের জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে ‘কর দিবস’-এর সংজ্ঞা সংশোধন করেছে এনবিআর। ব্যক্তি পর্যায়ে যিনি আগে কখনো রিটার্ন দাখিল করেননি, তার জন্য আয়বর্ষ শেষ হবে পরবর্তী ৩০ জুন।
অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। আয়কর পরিপত্রে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক করদাতাকে করের আওতায় আনতে এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। বর্তমানে দেশে ৭৮ লাখের বেশি টিআইএনধারী রয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ করদাতা নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। আয়কর আইনে টিআইএনধারীদের জন্য রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হলেও এনবিআর এতোদিন করদাতাদের বাধ্য করেনি।
কিন্তু ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও বিভিন্ন সেবা গ্রহণসহ প্রায় ৪০ ধরনের পরিসেবার জন্য আয়কর রিটার্নের জমা স্লিপ দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
সাধারণত প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল করতে ব্যর্থ হলে ব্যক্তিগত করদাতাদের প্রতি মাসে দুই শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হয়।
অন্যদিকে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করেই কোনো নির্দিষ্ট সেবা গ্রহণকারী কোনো ভুয়া করদাতা ধরা পড়লে, সেবা প্রদানকারীকে করদাতা কর্তৃক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এ কারণে এনবিআর সাম্প্রতিক সময়ে পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর জন্য একটি কর-রিটার্ন যাচাইকরণ মডিউল তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেএন/কেকে