চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যস্ততম জিইসি এলাকার অভিজাত শপিং মল সানমার ওশান সিটির তিন দোকানে বিক্রি করা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ ও আমদানিকারকবিহীন বিভিন্ন কসমেটিকস।
যদিও প্যাকেট এবং প্রসাধনীর চাকচিক্য লেভেলে এসব যে মেয়াদোত্তীর্ণ তা ক্রেতাদের চোখেই পড়ার কথা নয়। বিক্রেতারাও অতি চাতুকারিতার সাথে মধুর ভাষায় ক্রেতার মন জয় করে এসব প্রসাধনী দীর্ঘ দিন ধরে বিক্রি করে আসছিলেন।
তবে শেষ মেষে চোখ এড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের কাছে। আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও আমদানিকারকবিহীন বিভিন্ন কসমেটিকসগুলো ধরা পড়ে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন ও সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এসব পণ্য সংরক্ষণ করার দায়ে স্যানমার ওশান সিটির আফ্রা কসমেটিকসকে ১৫ হাজার, গ্লেম সিটিকে ৩ হাজার ও রেড রুটকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা আদায়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের স্যানমার ওশান সিটির তিনটি কসমেটিকসের দোকানে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ কসমেটিকস পণ্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া এসব দোকানে সংরক্ষণ করা বেশ কিছু পণ্যের গায়ে আমদানিকারকের কোন স্টিকার পাওয়া যায়নি।
ফলে তিন দোকানকে তাৎক্ষনিক ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় জিইসির মোড় এলাকার হক ফার্মেসিকে ১০ হাজার ও নিজামপুর ড্রাগ হাউসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
জেএন/পিআর