রাশিয়ার উরাল ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত জ্বালানি তেল) বাংলাদেশের পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধন করা সম্ভব নয়। আজ মঙ্গলবার ইআরএল তার এক প্রতিবেদনে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) এই তথ্য জানিয়েছে। বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সৌদি আরবের অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মারকান ক্রুড অয়েল আমদানি করে। বছরে ১৫ লাখ টন ক্রুড অয়েল আনে বাংলাদেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আমদানি করা তেল বেচে বিপিসির লোকসান হচ্ছে বলে সরকার দাবি করছে। তাই সাশ্রয়ী দামে তেল কিনতে বিভিন্ন উৎস্যের সন্ধান করছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন রাশিয়ার পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বাজার ধরতে রাশিয়া এখন এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বিশ্ববাজারের চেয়ে কম দামে ক্রুড অয়েল সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। চীন ও ভারত এ সুযোগ লুফে নিয়েছে। তারা রাশিয়া থেকে ক্রুড অয়েল আমদানি বাড়িয়ে দেয়। মস্কো ঢাকাকেও এমন প্রস্তাব দেয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ লিটার উরাল ক্রুডের নমুনা চলতি মাসের প্রথম দিকে ঢাকায় পাঠায়। এরপর তা ইআরএলের ল্যাবে নেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। ইআরএল ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তারা নানান পরীক্ষানীরীক্ষা করে জানায়, ইআরএলের শোধনাগারে রাশিয়ার ক্রুড শোধন করা সম্ভব নয়।
জেএন/কেকে