বিশ্বের ৩৪.৫ কোটি মানুষ খাদ্যসঙ্কটে ভুগছেন!

জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক প্রধান ডেভিড বিসলে সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের ৩৪.৫ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ভুগছেন। বিশ্বের ৪৫টি দেশের ৫ কোটি মানুষ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানিয়েছেন ডেভিড বিসলে।

- Advertisement -

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সমস্যার শিকড়ে গেলে খাদ্যসঙ্কটের হাজারটা কারণ দেখা যাবে। দারিদ্র, সামাজিক অন্যায়, লিঙ্গবৈষম্য, কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তার পাশাপাশি করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো সাম্প্রতিক কারণগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

- Advertisement -google news follower

মুদ্রাস্ফীতির মতো অর্থনৈতিক কারণে নিত্যপণ্যের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ফলে সঙ্কটও বাড়ছে। অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ ৭৫টি দেশের ২৩৮টি বেসরকারি সংস্থার মতে, অনাহারে বিশ্বে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১৯ হাজার ৭০০ মানুষ। সেই হিসাবে প্রতি চার সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘বিশ্ব এক অভূতপূর্ব জরুরি পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।

- Advertisement -islamibank

জাতিসংঘ বিশ্বের ৮২টি দেশে কাজ করে। এসব দেশের সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ এখন তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে আছে। করোনা মহামারির আগে বিশ্বে যত মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান ডেভিড বিসলে নিরাপত্তা কাউন্সিলকে বলেন, ২০২০ সালের আগ থেকেই এ খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরির জন্য তিনি বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত, করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবতন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে দয়ী করেছেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ইউথোপিয়া, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং ইয়েমেনের খাদ্য সংকট পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তবে বেসলি এবং জাতিসংঘের মানবিক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, এসব দেশের পাশাপাশি সোমালিয়া এবং আফগানিস্তানেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

দিন দিন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে তাদের দরজায় দুর্ভিক্ষ কড়া নাড়ছে। খাদ্য সংকট সমাধনে যদি আমরা এখনই কাজ শুরু না করি তাহলে এ পরিস্থিতি আগামী বছর ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

ডব্লিউএফপির শীর্ষ কর্মকর্তা ডেভিড বিসলে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিই, তাহলে চলমান খাদ্যপণ্যের দামজনিত সংকট ২০২৩ সালে খাদ্য না পাওয়ার সংকটে পরিণত হবে।

বৈশ্বিক খাদ্য সংকট পরিস্থিতি তুলে ধরে বিশ্বনেতাদের প্রতি খোলা চিঠি দিয়েছে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ ৭৫টি দেশের ২৩৮টি বেসরকারি সংস্থা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেবার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM