চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার খান নবাব সিরাজুদ্দৌলা রোডে প্রসিদ্ধ “ইকবাল সুইটস” নামে মিষ্টির ব্যবসা করতেন মোঃ মাজাহার ইকবাল খান (৫০) ও মোঃ জাফর ইকবাল খান (৪০) নামের দুই সহোদর। মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং নির্মাণের জন্য তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মগোপনেআত্মগোপনে যান তারা। দীর্ঘ ৬ বছর পর তারা চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশের জালে ধরা পড়তে বাধ্য হয়।
কোতোয়ালী পুলিশ জানিয়েছে, মোঃ মাজাহার ইকবাল খান (৫০) ও মোঃ জাফর ইকবাল খানকে (৪০) গতকাল বুধবার রাতে এবং আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। তারা দুইজন চট্টগ্রাম নগরের দিদার মার্কেট এলাকার হাজী মোহাম্মদ ইকবাল খানের পুত্র।
জানা গেছে, তাদের বাবা হাজী মোহাম্মদ ইকবাল খান মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া দিদার মার্কেটের বিপরীতে সম্পত্তিতে তারা মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং ১০ তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও লোকজনের থেকে কোটি টাকা ঋণ নেন। ৮ম তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের পর তারা ভবন নিমার্ণ করার কাজ বন্ধ করে দেন। যে সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও লোকজনদের কাছ থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তাদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তারা দুই ভাই চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যান।
এরমধ্যে মাজাহার ইকবাল খান (৫০) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানাধীন জোড় পুকুরিয়া গ্রামে আত্মগোপন করেন। সেখানে তিনি একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। তার ছোট ভাই মোঃ জাফর ইকবাল খান (৪০) গাজীপুর জেলার গাঁছা থানাধীন মেট্রিক্স স্টাইলস লিমিটেড কোম্পানিতে একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা তাদের গ্রেফতারী পরোয়ানা এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন। জাফর ইকবাল খানের বিরুদ্ধে ৭ টি সাজা ও ৬টি গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ মোট ১৩ গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া মাজাহার ইকবাল খানের বিরুদ্ধে ১৩ টি সাজা ও ৬ টি গ্রেফতারি পরোয়ানা সহ মোট ১৯ টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
জেএন/এফও/কেকে