বাজারে চাল, আটা-ময়দা, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, টয়লেট্রিজ (কাপড় কাচার সাবান, সুগন্ধি সাবান, গুঁড়া সাবান ইত্যাদি) পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অস্থিরতা তৈরির অভিযোগে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি এ মামলা করে। বৃহস্পতিবার কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চালের দাম বৃদ্ধির জন্য রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস, বেলকন গ্রুপ, সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড; আটা-ময়দার জন্য সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ; ডিমের জন্য প্যারাগন পোলট্রি, ডিম ব্যবসায়ী-আড়তদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ, কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল ইসলাম; মুরগির জন্য কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল ইসলাম, প্যারাগন পোলট্রি লিমিটেড ও টয়লেট্রিজ পণ্যের জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। অভিযুক্ত একই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা থাকায় তালিকায় তাদের নাম একাধিকবার এসেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে।
কমিশন আইনের ১৫ ও ১৬ ধারা অনুযায়ী এ মামলা হয়েছে। ধারা ১৫-তে বলা হয়, বাজারে প্রভাব বিস্তার করে একপক্ষীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তাঁরা শাস্তির আওতায় আসবেন। ধারা ১৬-তে বলা হয়, পণ্যের বাজারজাত বা উৎপাদনে শীর্ষে থাকার সুযোগে এর দামে কারসাজি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা আছে কমিশনের।
কয়েক মাস ধরে অস্থিরতা দেখা গেছে চাল, আটা-ময়দা, তেল, ডিম, মুরগি, সাবান, ডিটারজেন্ট ও টুথপেস্টের দামে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকির পাশাপাশি এসব পণ্যের উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও দেয় অধিদপ্তর।
কমিশনের মামলার বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, অধিদপ্তরের অভিযান ও একাধিক বৈঠকের পর্যবেক্ষণের আলোকে সরকারের কাছে ১১ দফা সুপারিশ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ মামলা দায়ের হয়েছে।