বিয়ের ১০ বছর পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু তার একটি সন্তানকেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই গৃহবধূ একসঙ্গে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন। প্রসূতি সালেমা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানায়, একটি সন্তানের জন্য কৃষক ঝন্টু মিয়া ও তার স্ত্রী ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করেছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাস পাঁচেক আগে ঝন্টু মিয়ার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এলে পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে পেটে ব্যথা নিয়ে কার্পাসাডাঙ্গা বাজারের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন সালেমা খাতুন। এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে একে একে আরো চারটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর তাদের সবাই মারা যায়।
ওই ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মামুন আর রশীদ বলেন, সন্ধ্যার আগে স্বামীর সঙ্গে ক্লিনিকে আসেন সালেমা খাতুন। ক্লিনিকে ঢোকার পরই প্রথমে একটি সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহযোগিতায় প্রসব করেন বাকি চার সন্তান। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়।
অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসুমা ফেরদৌস স্নিগ্ধা জানান, মাত্র সাড়ে ৪ মাসের মাথায় পাঁচ সন্তান প্রসব করেন সালেমা খাতুন। সন্তানরা মারা গেলেও প্রসূতি ছালেমা খাতুন মোটামুটি সুস্থ আছেন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেএন/কেকে