নোয়াখালীর মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আবদুর রহিমকে (রনি) তিনদিনের রিমান্ড এবং অপর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুর রহিম রনির দশদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ এমদাদ তিন দিনের রিমান্ড দেন। তিনি অন্য আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্তকারী কিশোর ইসরাফিল, তার ভাই সাঈদ ও সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে আটক করে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় দেখে তাকে এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, কিছুদিন আগে নিহত স্কুলছাত্রী রনির কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্য স্থানে প্রাইভেট শুরু করলে এতে ক্ষিপ্ত হলেও রনি ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় আসা যাওয়া করতো। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো এক সময় ওই ছাত্রীর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ ও পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে ওই ছাত্রীকে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে ঘরের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু ঘরে থাকা কোনো মূল্যবান জিনিস বা স্বর্ণালংকার সে নেয়নি।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে পারিবারিক কলহ বা অন্যকোনো বিষয় আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রনি ও ইসরাফিলকে হত্যা মামলা; সাঈদ ও ইমামকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত, ডিএনএ টেস্ট ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জাহান মঞ্জিলের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর গলাকাটা ও অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেএন/কেকে