চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবরেটরিতে গতকাল চট্টগ্রামের ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১৭ জনের মধ্যে শহরের ১২ ও দুই উপজেলার ৫ জন। উপজেলার ৫ জনের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৪ জন ও বাঁশখালীতে একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৬০ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৯৪৭ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯১৩ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যানয়। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২০ নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও বাঁশখালীর একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১ নমুনা শহরের একটিতে সংক্রমণ পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৮ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২২ জনের নমুনায় শহরের ২ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫ জনের নমুনায় শহরের একজন ও মিরসরাই উপজেলার ৪ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ, চমেকহা’য় ২৮ দশমিক ৫৭, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ০৯, আরটিআরএল-এ ১২ দশমিক ৫০, শেভরনে ৯ দশমিক ০৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২০ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এপিক হেলথ কেয়ারে ০ শতাংশ।
জেএন/কেকে