সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এই আবেদন খারিজ করে দেন।
একই সাথে কারাকক্ষে তল্লাশির অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
গত ৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তার মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আবেদনের বিষয়ে বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ সে দিন বলেছিলেন, মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার করার কথা স্বীকার করতে তাঁকে পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের নির্দেশে নির্যাতন করা হয়।
মামলার অন্য যাদের আসামি করা হয়েছিল তারা হলেন— পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম এবং সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।
এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক রহস্য। তদন্তের ছয় বছরে একাধিক মোড় নেওয়া চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন বাবুল আক্তার নিজেই আসামি হয়ে কারাগারে আছেন।
জেএন/পিআর