২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনকে ব্যবসায়ীক দ্বন্ধ ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুস্কৃতিকারী কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময়ে মামুন এবং তার অপর এক ভাই ইকবাল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় জেল হাজতে ছিল। দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে মামুন একই এলাকার যুবলীগ কর্মী মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ৫দিন আগে মামুন জেল থেকে জামিনে বের হন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শহিদুল ইসলাম আকাশ হত্যার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ মামুনকে (২৫) তার দুই সহযোগিসহ র্যাব গ্রেফতার করে। মামুন জোরারগঞ্জ থানার ইসলামপুরের মিন্টু মিয়ার পুত্র। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছে তার অপর ভাই মোহাম্মদ ইকবাল (২২) ও ইসলামপুরের পশ্চিম পরাগপুর তপন কুমার দাসের সন্তান মুকেশ চন্দ্র দাস প্রকাশ সৌরভ দাস (২৪)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নুরুল আবছার বলেন, নিহত শহিদুল ইসলাম আকাশের পরিবারের সঙ্গে গ্রেফতার মানুনের পারিবারিক ও রাজনৈতিক দ্বন্ধ ছিল। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেন খুন হন। ভাই খুনের সময় মানুন জেলে ছিলেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামুন জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পেয়ে মামুন তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ, মুকেশসহ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মতে ১৯ সেপ্টেম্বর জেল হতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার ৫ দিনের মাথায় যুবলীগ কর্মী শহীদুলকে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, পরবর্তীতে মামুনসহ খুনের মামলার আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-৭, তাদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নগরের পাহাড়তলী থানাধীন সিডিএ মার্কেট এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়। পরে তার ভাই ইকবাল ও মুকেশ চন্দ্র দাশকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর যুবলীগ কর্মী মোঃ শহিদুল ইসলাম আকাশ চিনকিরহাট এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুন হন। তার বোন বাদী হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
জেএন/এফও/এও