২০২৩ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলাটা নিশ্চিতই হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে বাছাইপর্বের ফাইনালটা বাকি ছিল। আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে সেই ফাইনালেও জিতল বাংলাদেশ। তাতে বাছাইপর্বে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় নিগার সুলতানার দল।
আজ রোববার দুবাইতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড নারী দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ নারী দল সংগ্রহ করে ১২০ রান।
মাঝারি লক্ষ্যের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। কেননা টপ অর্ডারের কোন ব্যাটারই পাননি দুই অঙ্কের রানের দেখা। এরপর ইমিয়ার রিচার্ডসন এবং ম্যারি ওয়ালডল দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
শেষদিকে আরলিনে কেলি এবং চারা মুরারি জুটি গড়ে ম্যাচকে জমিয়ে তোলেন। তবে শেষ ওভারে নাহিদার বোলিং দৃঢ়তায় দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে পারেননি আইরিশ এই দুই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৭ রানের হার নিয়ে রানার-আপ হয়েই মাঠ ছাড়ে আইরিশরা। বাংলাদেশের পক্ষে রোমানা আহমেদ ৩ উইকেট নেন, এছাড়া সানজিদা আক্তার মেঘলা, নাহিদা আক্তার, এবং সোহালি আক্তার নেন ২ টি করে উইকেট।
এর আগে দুবাইতে ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। যদিও অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ওপেনার মুর্শিদা খাতুন, শুরুতেই ৬ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার। তবে আরেক ওপেনার ফারজানা হক ঠিকই দিয়েছেন নিজের প্রতিভার জানান। এদিন ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখে মেরেছেন একের পর এক বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাটার আউট হওয়ার আগে করেন ৬১ রান। যদিও অধিনায়ক জ্যোতি ফাইনালেও পাননি রানের দেখা, করেছেন মাত্র ৬।
রোমানা আহমেদ ছাড়া বলার মত আর উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি কোন ব্যাটার, এ ব্যাটার করেন ২০ রান। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারালে নারী দলের স্কোরবোর্ডে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে রান গিয়ে দাঁড়ায় ১২০। আইরিশদের হয়ে ডেলানি নেন ৩ উইকেট, এছাড়া আরলেনি কেলি এবং চারা মুরাই নেন দুই উইকেট করে।
জেএন/এও