বিএনপি লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেধে রাস্তায় নামলে জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামলে জবাব দেওয়া হবে। লাঠি নিয়ে খেলা, আগুন নিয়ে খেলা চলবে না।
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোমর ভাঙ্গা বিএনপি হাটুভাঙ্গা বিএনপি এখন লাঠির উপর ভর করেছে। আমি বলছি না, বলেছেন জাফরুল্লাহ। লাঠি চলে গিয়েছিল আবার বিএনপি লাঠি ফিরিয়ে এনেছে। লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বাধা, আবার বলে লাঠি আরো বড় হবে। কত বড় আসফলন। এর জবাব আমরা দেব।
তিনি বলেন, যদি জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামেন আসফলন করেন, জবাব আছে। আমি পরিষ্কার করে বলছি লাঠি নিয়ে খেলা, আগুন নিয়ে খেলা চলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। রাজপথে আমরা নামবো জনগণের জন্য, আমাদের উন্নয়নের জন্য। রাজপথ দখল করবেন? দেখা যাবে অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, বিএনপি আবারো ২২ দলের জগা খিচুড়ি জোট নিয়ে মাঠে নেমেছে লাঠি নিয়ে। তারা অভিযোগ করে যে, আওয়ামী লীগ হামলা করে, পুলিশ হামলা করে। হাজারীবাগে আওয়ামী লীগের উপরে হামলা হল আমাদের দলের দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। বিএনপির সংঘাতে জানানোর জন্য আওয়ামী লীগকে উস্কানি দেয়।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও বিজয়ের বন্দরে। শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। এবারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। এবারে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য তুলে ধরেছেন আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারবেন না এটা জেনে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন। খেলা হবে, মোকাবেলা হবে আন্দোলনে, নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে যাবে এদেশের মানুষ কাকে চায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতাকে হারিয়ে আমরা অমানিসার অন্ধকারে ছিলাম। এর ৬ বছর পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফিরে এসেছিলেন রক্তভেজা দুঃখিনী বাংলায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। তিনি দেশে এসেছিলেন বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি ফিরেছেন বলে দেশে উন্নয়নের অর্জনের ধারা সূচিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ও আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
জেএন/এও