জেড আই এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে প্যাড লক আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এনেছে তারা ডোর লক। প্যাড লক আমদানির শুল্ক কর ৩৫ হাজার টাকা। ডোর লকগুলোর কাস্টমস শুল্ক কর ৩৭ লাখ টাকা! মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৩৬ লাখ টাকারও বেশি শুল্ক ফাঁকি দিতে গিয়ে কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তাদের জালে আটকা পড়ে ওই কোম্পানির পণ্যগুলো। রোববার (২১ অক্টোবর) চালানটি জব্দ করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
প্যাডলক হলো পোর্টেবল লক, অর্থাৎ যে কোন দরজায় ব্যবহার করা যায় এমন সনাতনী তালা। যেগুলি হ্যাশ স্ট্যাপল দিয়ে তৈরি এবং বহনযোগ্য। এদিকে ডোরলক হলো দরজার সাথে সংযুক্ত তালা, যেগুলো বহনযোগ্য নয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, জেড আই এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে প্যাড লক আনার ঘোষণা দেয় কাস্টমস হাউসকে। কিন্তু কনটেইনারের ভিতর প্যাড লকের বিপরীতে মিলে ডোর লক। যে পরিমাণ প্যাড লক আমদানির ঘোষণা করা হয়েছিল, তার কাস্টমস শুল্ক কর ৩৫ হাজার টাকা। বিপরীতে তথ্য গোপন করে আনা ডোর লকগুলোর কাস্টমস শুল্ক কর ৩৭ লাখ টাকা! সরকারকে শুল্ক ফাঁকি দিতে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শাহীনুর কবির পাভেল জয়নিউজকে বলেন, কাস্টমস কমিশনারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এআইআর শাখা জেড আই এন্টারপ্রাইজের কন্টেইনারটির পণ্য খালাস স্থগিত করে। কায়িক পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্যাড লকের ঘোষণা দিয়ে তারা ডোর লক এনেছে। এরপর কাস্টমসের এআইআর শাখা চালানটি জব্দ করে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পণ্যগুলোর খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট মজুমদার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কায়িক পরীক্ষা শেষে ঘোষণা বহির্ভূত অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্যগুলোর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। শুল্ক করসহ পণ্যগুলোর মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। চালানের বি/ই নং ১৪৮৮০৬২। গত ১৪ অক্টোবর এ চালানটি খালাসের আবেদন জানিয়েছিল তারা। আবেদনের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ শুরু করে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আনার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২১ অক্টোবর চালানটি আটক করা হয়।
জয়নিউজ/মনির ফয়সাল/অভি/আরসি