ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (ইউএনডিএসএ) গত দু’বছরের উন্নয়ন মূল্যায়ন করে ইউএন ই-গভর্নমেন্ট সার্ভে ২০২২ অনুযায়ী চলতি বছরের ইউএন ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।
ইনডেক্সে ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে এখন ১১১তম স্থানে। ই-অংশগ্রহণ সূচকে বাংলাদেশ ২০ ধাপ ওপরে উঠে র্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ এগিয়েছে।
অভূতপূর্ব কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দু’বছরে বিশ্বব্যাপী সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ই-অংশগ্রহণে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে ই-গভর্নমেন্ট সার্ভে ২০২২ (ডিজিটাল সরকারের ভবিষ্যৎ) শীর্ষক ইজিডিআই-এর ১২তম সংস্করণের জরিপ ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ০.৫৬৩০ স্কোর করে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থান অর্জন করেছে এবং ০.৫২২৭ স্কোর নিয়ে ই-পার্টিসিপেশন বা ইপিআইতে ৭৫তম স্থান অর্জন করেছে।
সমীক্ষাটি অনলাইন পরিষেবা সরবরাহ, আইনি এবং নীতি কাঠামো, ই-অংশগ্রহণের অবস্থার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও মানব পুঁজির মূল্যায়ন করে।
এটি প্রকাশনার অ্যানেক্সে থাকা ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্টের ওপর বিশ্লেষণমূলক অধ্যায় এবং তথ্য নিয়ে গঠিত, যা সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের ই-সরকার উন্নয়নের আপেক্ষিক পরিমাপের একটি স্ন্যাপশট বা অনানুষ্ঠানিক চিত্র তুলে ধরে।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান অর্জন করেছে এবং পরপর দুটি জরিপে বাংলাদেশ উচ্চ ইজিডিআই গ্রুপে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শাখাবিহীন ব্যাংকিংয়ের প্রসারের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, যা সারাদেশের গ্রামীণ নাগরিকদের দোরগোড়ায় পূর্ণ-পরিষেবা খুচরা ব্যাংকিংকে নিয়ে গেছে এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ১০০ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এই চ্যানেলগুলোকে একত্রিত করে এবং সমাজকল্যাণ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায়, বাংলাদেশ সরকারের ‘এ-টুআই’ প্রোগ্রাম, ইউএনডিপি, গেটস ফাউন্ডেশন এবং কনসালটেটিভ গ্রুপের সহায়তায় দরিদ্রদের সহায়তার জন্য, ‘নাগরিক’ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য চয়েস আর্কিটেকচার- যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা, নিঃস্ব মহিলাদের জন্য ভাতা, আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা।
২০০১ সাল থেকে সারাবিশ্বে ডিজিটাল শাসনের বিস্তার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘ প্রতি দু’বছর পর পর এই জরিপ পরিচালনা করে আসছে। সূত্র : ইউএনবি
জেএন/পিআর