দুর্গাপূজা ও ঈদ-এ-মিল্লাদুন্নবীর পর ১১ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শুরু হবে। শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহানগর আওয়ামী লীগের দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে কার্যকরী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের উপস্থিতিতে এসব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরের ১৫টি থানার সাংগঠনিক দলের আহ্বায়কদের যথাযথভাবে সুষ্ঠু সম্মেলন করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান নাছির।
সভায় আ জ ম নাছির বলেন, ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনের তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হবে।
এ সময় তিনি দূর্গোৎসব চলাকালে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সব পর্যায়ের আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পূজা আয়োজকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি নেতাকর্মীদের শান্তি, সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
সভায় জানানো হয়, পবিত্র ঈদ-এ-মিল্লাদুন্নবীতে জুলুস আয়োজনের ক্ষেত্রেও মহানগর আওয়ামী লীগ উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে।
আ জ ম নাছির বলেন, বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাতে যদি নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালানো হয় তাহলে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। নাশকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলের তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে কার্যকরী কমিটির এ সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
জেএন/এও