চট্টগ্রামের পটিয়ায় মো. রনি (১৮) নামের এক কিশোরের
ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন মো. ফাহিম (২২) নামের এক তরুণ। এ ঘটনায় রনিকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার পশ্চিম চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে রনিকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম বিকেল ৫টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ফাহিম পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পিঙ্গলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। আটক রনি কোলাগাাঁও ইউনিয়নের লাখেরা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম বলেন, লাখেরায় ভগ্নিপতির রড, সিমেন্ট, বালু ও বাঁশের দোকানে চাকরি করতেন ফাহিম। আর রনি পেশায় একজন মাঝি। শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ফাহিমের ভগ্নিপতির দোকানের পাশে মোহাম্মদী খালে বাঁশের খুঁটিতে নৌকা বাঁধতে যায় রনি।
এ সময় ফাহিম এসে রনিকে ওই জায়গায় নৌকা বাঁধতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনিকে আঘাত করে বসেন ফাহিম। বিষয়টি ওইদিন সন্ধ্যায়ই স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা হয়ে যায়। রনির চিকিৎসার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানাও করা হয় ফাহিমকে।
কিন্তু রোববার সকালে ফাহিম দোকানে বসে থাকা অবস্থায় রনি এসে আগের দিন তাকে কেন মেরেছে জানতে চায়। একপর্যায়ে ফাহিমের বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় রনি। পরে ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
‘এ ঘটনার পর দুপুরে আমরা গ্রামের লোকজন মিলে রনির বাবা আবদুল মান্নানকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) দিয়ে আসি। পরে শুনেছি, পুলিশ ইউপি থেকে রনির বাবাকে আটক করেছে।’
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে আমরা রনিকে আটক করেছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জেএন/এও