বিগত দুই দিনে মিয়ানমারে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণে দেশের বিভিন্ন স্থানে সব মিলিয়ে ৩৭ জান্তা সেনার মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনের (ইএও) একাধিক হামলা ওই ৩৭ জন প্রাণ হারান। থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সাগাইন, মান্দালয় এবং তানিনথারি শহর এবং কারেন ও মন রাজ্যে পৃথক আক্রমণের ঘটনায় জান্তা বাহিনীর সৈন্যরা প্রাণ হারান। ইরাবতী পিডিএফ এবং ইএও–এর সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সাগাইন অঞ্চলে গত সোমবার বিকেলে এক হামলায় সব মিলিয়ে ১০ জান্তা সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে জান্তা বাহিনীর ৩ সৈন্য, জান্তা সমর্থক বলে পরিচিত পায়ু সাও হ্তের ৫ সদস্য এবং ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। এদিকে, মান্দালয়ে পৃথক একটি হামলায় জান্তা বাহিনীর ১ মেজন এবং একটি পুলিশ স্টেশনের প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। পিডিএফ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত জান্তা মেজর জাও জাও নাইঙ পিডিএফ সদস্যদের পাতা এক অ্যামবুশে নিহত হন। একই সময়ে স্থানীয় পালেইক পুলিশ স্টেশনের প্রধান জাও উইন মারা যান।
এদিকে, কারেন রাজ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্নাইপারের গুলিতে ৪ জান্তা সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে মেয়দ্দি টাউনশিপে। কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির স্নাইপারদের গুলিতে ওই ৩ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে, গত রোববার কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির স্নাইপারের গুলিতে আরও এক জান্তা সৈন্যের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া, সাগাইনে পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) আক্রমণে খিন–উ টাউনশিপে ৮ জান্তা সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার স্থানীয় ৬টি যোদ্ধা গোষ্ঠী জান্তা বাহিনীর ৩০ জন সৈন্যের ওপর আক্রমণ চালালে ওই ৮ জনের মৃত্যু হয়।
জেএন/এফও/এও