চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে ১৮ জন শহরের বাসিন্দা ও ২ জন মিরসরাই উপজেলার। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৬ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ১৩৯ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৯৭৭ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৬ ও গ্রামের ২ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৫ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। বেসরকারি শেভরনে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ জনের নমুনায় ৫ জন কোভিড রোগী পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১০ জনে একজন ও এভারকেয়ার হসপিটালে ১২ জনে ২ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিতেও করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়নি।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথে কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ২০ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮ দশমিক ১৬, শেভরনে ৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৫ দশমিক ৪৫, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১০ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
জেএন/এও