চট্টগ্রাম শহরের ব্যস্ততম এলাকা কোতোয়ালী থানাধীন মোমিন রোড ও জামালখান এলাকায় স্বনামধন্য হোটেল রেস্তোরাঁয় ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
হোটেল-রেস্তোরার নিবন্ধন,খাবারের গুণগত মান ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নের্তৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। অভিযানে পচাঁ বাসি ও অনুন্নত খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ এর দায়ে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাকে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
অভিযানে মোমিন রোড ও জামালখান এলাকার প্রায় প্রত্যেকটা হোটেল রেস্তোরায় দেখা যায়, তারা পচা বাসি খাবার পরবর্তীতে পরিবেশনের জন্যে ফ্রিজে সংরক্ষণ করছে। এছাড়াও খাবার সুস্বাদু করনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রিজারবেটিভ এবং বিষাক্ত রং রান্নাঘরে পাওয়া যায়।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, পরিবেশন, পঁচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশনের নিমিত্ত সংরক্ষণ, নর্দমার পাশে রান্না ঘর স্থাপন, পোড়া তৈল ব্যবহার এবং লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় সাফরান রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা, ব্লু ওশান রেস্ট্রুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা, মোগল দরবারকে ২ হাজার টাকা, হোটেল আলীকে ২ হাজার টাকা এবং একটা বেনামী হোটেলকে ১ হাজার টাকাসহ মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সরাইপাড়া ও পাহাড়তলী এলাকায় পৃথক এক অভিযানে নের্তৃত্ব দেন বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. এন. জামিউল হিকমা।
এ সময় ঢাকা বেকারি ওয়ানকে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৪২ ও ৫১ ধারা মতে ২০ হাজার টাকা, মারিয়া ফুড প্রোডাক্ট ও ঢাকা বেকারি কে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ এর ৩০ ধারা মতে ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আরোপ করা হয়।
অপরদিকে নগরীর লালখানবাজার, ওয়াসা, খুলশি, বায়েজিদ এলাকায় এবং সরাইপাড়া,পাহাড়তলী এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
নগরীর লালখান বাজার এলাকায় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি, পরিদর্শক, মো. জিল্লুর রহমানের উপস্তিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন।
এসময় তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ পন্য, লাইসেন্স বিহীন পন্য বিক্রয় এর অপরাধে আদিয়াত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কে ১০ হাজার টাকা এবং অন্য এক মুদি দোকানকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তাছাড়া মুরাদপুর ২ নং গেইট কর্ণফুলী বাজারের সকল ওজন পরিমানের মেশিন চেক করা হয়। রহমান এন্ড কোং নামক পেট্রল পাম্পসহ আরও কয়েকটি তেলের পাম্পে সঠিক পরিমাপে তেল বিক্রি করছে কিনা বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধির দ্বারা পরীক্ষা করে সর্তক করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সাধারন জনগনের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
দিনব্যাপী পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে সিএমপি সদস্যগণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ক্যাব চট্টগ্রাম প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়কে সহযোগিতা করেছেন।
জেএন/পিআর