এভারটনের বিপক্ষেও শুরুর একাদশে জায়গা মেলেনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তবে প্রথমার্ধেই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ইনজুরিতে পড়া অ্যান্তোনি মার্শিয়ালের বদলি হয়ে গোলও করেছেন সিআরসেভেন। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্লাব ক্যারিয়ারে সাতশ’ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। তার কীর্তির দিনে এভারটনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এরিক টেন হ্যাগের দল।
এক নিমিশে গোল, রেকর্ড, জয়ের কথা বলে যাওয়ার মতো ম্যাচটি সহজ হয়নি রেড ডেলিভসদের জন্য। ম্যাচের ৫ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ম্যানইউ। শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া কাসেমিরোর এক ভুলে আয়ুবি গোল করে দলকে লিড এনে দেন।
রেকর্ড একশ’ মিলিয়নে আয়াক্স থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসা অ্যান্তোনি ওই গোল শোধ করেন। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রাইট উইঙ্গারকে দিয়ে গোল করান ম্যানইউ নাম্বার নাইন মার্শিয়াল। তার বাড়ানো বল ধরে গতির সঙ্গে বক্সে ঢুকে বাঁপায়ের নিঁখুত শটে জালে জড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজের তৃতীয় গোল করেন এই তরুণ।
প্রথমার্ধে লিড নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ হারান কাসেমিরো। রাশফোর্ডের বক্সের কোণা থেকে দেওয়া ক্রস ফাঁকায় পেয়ে হেড দিলেও তা বাইরে চলে যায়। ওই কাসেমিরো ৪৪ মিনিটে রোনালদোকে দিয়ে গোল করান। নিজেদের বক্স থেকে এক থ্রু বাড়ান সিআরসেভেনের উদ্দেশ্যে। গতির সঙ্গে ধরে জোরের ওপর শট নিয়ে জালে পাঠান সিআরসেভেন।
ক্লাব ক্যারিয়ারে প্রথম ফুটবলার হিসেবে সাতশ’ স্বীকৃত গোল করার কীর্তি গড়েন তিনি। রোনালদো তার ক্লাব ক্যারিয়ারে স্পোর্টিং সিপি (৫), ম্যানইউ (১৪৪), রিয়াল মাদ্রিদ (৪৫০) এবং জুভেন্টাসের (১০১) হয়ে খেলেছেন। ওই চার ক্লাবের হয়ে তিনি সাতশ’ গোল করেছেন। অবশ্য মেসি তার চেয়ে মাত্র নয় গোল পিছিয়ে আছেন। আন্তর্জাতিক ও ক্লাব মিলিয়ে রোনালদো সর্বোচ্চ ৮১৭ গোল করেছেন।
জেএন/এও