অনেক দৌড়ঝাঁপ করেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট লালদিঘীতে সমাবেশ করতে পারছে না শনিবার (২৭ অক্টোবর)। বিএনপির মতোই ঐক্যফ্রন্টের জন্য বরাদ্দ হলো নাসিমন ভবনের মাঠ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ঐক্যফ্রন্টকে লালদিঘীতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। শর্তসাপেক্ষে নাসিমন ভবনের মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সিএমপি কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করে লালদিঘীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল। ঐদিন তাৎক্ষণিক তাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। বলা হয়েছিল, শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সিদ্ধান্ত জানাবে সিএমপি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের নীতি নির্ধারকগণ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে ঐক্যফ্রন্টকে নূর আহমদ সড়কস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান জয়নিউজকে বলেন, সিএমপি আমাদের দলীয় কার্যালয়ের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আমরা নূর আহমদ সড়কস্থ নাসিমন ভবনের মাঠে সমাবেশ করব।
উল্লেখ্য, ঐক্যফ্রন্ট গঠনের আগে নগর বিএনপি লালদিঘী ময়দানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল তারা। সেটা না পেয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের দিনকে সামনে রেখে বিএনপি লালদিঘীতে শো-ডাউন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেলেনি লালদিঘী ময়দান।
উপরন্তু আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানির দিন ২১ অক্টোবর আদালত চত্বরে পুলিশের সাথে হট্টগোল বাঁধিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়ে নগর বিএনপি। আদালত এলাকার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২২ অক্টোবর গ্রেফতার হন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও নগর সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর। গা ঢাকা দেন সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ অধিকাংশ নেতা। ২৫ অক্টোবর ডা. শাহাদাতসহ নেতৃবৃন্দ উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন এই মামলায়।
জয়নিউজ/ফারুক/আরসি