চোখ আমাদের সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়
‘লাভ ইউর আই’ (আপনার চোখকে ভালোবাসুন)-এই স্লোগানকে সামনে রেখে “বিশ্ব দৃষ্টি দিবস-২০২২” উদ্যাপন করেছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এ উপলক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, র্যালীসহ হাসপাতালে আগত রোগীদের মাঝে সেবা দেয়া হয়।
সেমিনারে বলা হয়, আমাদের চোখ আমাদের সংবেদনশীল অঙ্গগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আমাদের সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। কারণ চোখের সামান্য সমস্যাও শুধু দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে না, অনেক সময় অন্ধত্বেরও কারণ হতে পারে। সেমিনারে আরো বলা হয়, আমাদের খাদ্য, শারীরিক পরিচ্ছন্নতা এবং ব্যায়ামও আমাদের দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী এবং চোখ সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে কেউ কেউ চোখে চুলকানি বা কোনও ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই জ্ঞানী বা রসায়নবিদদের পরামর্শে চোখে ড্রপ দেন। যা কখনও কখনও দৃষ্টিশক্তি বা চোখের রোগের কারণ হতে পারে। তাই চোখে কোনও ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় দুর্ঘটনা অন্ধত্ব বা চোখের আঘাতের জন্যও দায়ী । এমতাবস্থায় যে কোনো কাজ করার সময় যাতে চোখে আঘাতের সম্ভাবনা থাকে, তাই প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরতে হবে। এছাড়া সূর্য্যরে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সবসময় ভালোমানের চশমা পরা প্রয়োজন।
এছাড়া র্যালীতে চোখের ক্রটি, জটিলতা, পুষ্টিহীনতা, অজ্ঞতার কারণে মানুষ দৃষ্টিহীন হওয়ার কথা উল্লেখ করে সাধারণ জনগণকে সচেতন ও অজ্ঞতা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ প্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে দিসটি উপলক্ষে আগত রোগীদের মাঝে মাঝে চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য গণসচেতনতা তৈরি, চক্ষু রোগ নির্মূলে প্রভাবিত করা, চোখের যত্ন নেওয়ার তথ্য জানানো হয়।
অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের সমস্যা সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ উপলক্ষ্যে অদ্য ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে র্যালী হাসপাতাল চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. কামরুল ইসলাম, আইসিও এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ,হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. ছাকী হোসেন, ডা. মেরাজুল ইসলাম, ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ডা. সাহেলা বেগম, ডা. তনিমা রায়, ডা. সাহেলা শারমিন, ডেপুটি ম্যানেজার (এডমিন)মো. রোকনুন চৌধুরীসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, অপটোমেট্রি, প্যারামেডিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জেএন/এফও/এমআর