আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস উদযাপন করা হবে।
সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি ছাড়াও রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে রয়েছে আলোচনা সভা ও সেমিনার। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন–ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা।
সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২০১২-১৩ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৭৬১.৭৪ কোটি এবং ২০২১-২২ সালে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৩৫.৩৫ কোটিতে।
অর্থাৎ গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৩৬.০১টি।
ডিমের পুষ্টিগুণ : একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে।
এছাড়াও ডিমে থাকা লিউটিন ও জেক্সানথিন চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ডিমে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সম্ভাবনা: বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২৪ টি ডিম খাওয়া হয়। পক্ষান্তরে উন্নত দেশ গুলোতে ২৪০টি ডিম খাওয়া হয়। এই যুক্তিতে হলেও এখনও দশগুন ডিম উৎপাদন করা যায় এরফলে, আরও সস্তায় ডিম সরবরাহ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিপিএ।
জেএন/পিআর