রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে বাস থেকে ফেলে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম- আবু সায়েম মুরাদ (৩৭)। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ এবং চালক ও হেলপারকে গণধোলায় দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
গণধোলাইয়ের শিকার চালক শাহ আলম (৪৫) ও হেলপার মো. মোহনকে (২০) গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে।
নিহত মুরাদের বড় ভাই আবু সাদাত সাহেদ জানান, তার ভাই মতিঝিলের একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। অফিস শেষে শনিবার বাসে করে শহীদ ফারুক সড়কের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় হেলপার এক যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ায় মুরাদ প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বাসের মধ্যে তাদের তর্ক বাধে। এর জেরে শহীদ ফারুক সড়কে নামার সময় হেলপার ধাক্কা দিয়ে মুরাদকে ফেলে দেন। এরপর তার মাথার ওপর দিয়ে বাসের পেছনের চাকা তুলে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শহীদ ফারুক সড়কের ঘটনায় প্রত্যক্ষদশীরা জানান, আবু সায়েম মুরাদ ৮ নম্বর বাসের যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ ফারুক সড়কের টনি টাওয়ারের সামনে তিনি বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। এ সময় বাসটির পেছনের চাকা তার মাথার ওপরে উঠে যায়। মাথা থেঁতলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা বাসটি ভাঙচুর করেন ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটির আগুন নেভায়। এর আগেই বাসটি পুড়ে গেছে।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল আলম বলেন, নিহত মুরাদের বাসা শহীদ ফারুক সড়কে। তিনি মতিঝিল থেকে ওই বাসে উঠেছিলেন। বাসটি জব্দ এবং চালক মো. শাহ আলম ও হেলপার মো. মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাসের ধাক্কায় কিশোর নিহত: এ দিকে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাসের ধাক্কায় রিফাত মুন্সি নামে এক কিশোর শ্রমিক নিহত হয়েছে।
রিফাতের সহকর্মী আনোয়ার হোসেন জানান, রিফাতসহ তিনি সায়েদাবাদ এলাকার একটি গ্যারেজে কাজ করেন। শনিবার টার্মিনালে একটি বাসে গ্রিজ দেওয়ার কাজ করছিল রিফাত। এ সময় ব্যাপারী পরিবহন নামের একটি বাস ঘুরাতে গিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরহ চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোসণা করেন। তার গ্রামের বাড়ির কিশোরগঞ্জের হাজিরগল এলাকায়। তার বাবা কাজল মুন্সি রিকশাচালক।
জেএন/এমআর