জেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ১৩ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদ ও সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে সর্বমোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আজ ১৭ অক্টোবর (সোমবার) বাঁশখালী পৌরসভা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর আড়াইটার পর বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম। তিনি ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক নিয়ে ৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শীলকূপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক সিকদার উট পাখি প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৭ ভোট।
এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর কবির (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ২৩ ভোট, পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদ উল্লাহ হামিদ (বক) পেয়েছেন ১৮ ভোট, ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর করিম শরীফি (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ১৭ ভোট, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নুর হোসেন টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে ৬ ভোট, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন তানজু (হাতি) পেয়েছেন ২ ভোট, আব্দুল আজিজ (বৈদ্যুতিক পাখা) পেয়েছেন ২ ভোট, খালেকুজ্জামান (তালা) পেয়েছেন ১ ভোট।
তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে লড়াই করে একটি ভোটও পেলেন না দৈনিক আজাদী প্রতিনিধি সাংবাদিক কল্যাণ বডুয়া। তিনি লড়াই করেছেন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে।
বাঁশখালী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫১ ও মহিলা ভোটার ৪৬ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে ১৯৫ জনের।
অন্যদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের চট্টগ্রাম লোহাগাড়া ১৫ নং ওয়ার্ডের মোট ১২০ জন ভোটারের মধ্যে ১১৮ টি ভোট সংগৃহিত হয়েছে। টানা ৫ ঘন্টার ভোট প্রয়োগ শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এতে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ এরফানুল করিম চৌধুরী। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার কামাল অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ ভোট।
জেএন/পিআর