দেশে গত এক বছরে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আর গত ১০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংলাপে গবেষণার বরাত দিয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন গবেষক কাজী আবুল আল আতাহিয়া।
‘সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক সংলাপ’ শিরোনামের এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ, সেবক ও ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টার।
সংলাপে জানানো হয়, গত এক বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৩৭১টি। এতে আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন। আহতদের মধ্যে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েছেন ১২ হাজার ৫০০ জন। আর এতে নিহত হয়েছেনন ৬ হাজার ২৮৪ জন।
এ সময় গবেষক কাজী আবুল আল আতাহিয়া বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তি থাকলে আমরা যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি। যার প্রমাণ করোনা মহামারি মোকাবিলা। কিন্তু আমরা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কাজ করছি না। এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। এজন্য চালকদের নিরাপদ গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তাদের সুষ্ঠু-সুন্দর জীবনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, ‘দুর্ঘটনাগুলো আমাদের হাতেই তৈরি। তাই এগুলোকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। চালক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ না হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। চালকদের দক্ষ বানাতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সেবকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ‘ডোপ টেস্টের নামে চালকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিছু মাদকসেবী চালকের জন্য কেন সব চালককে এ হয়রানি ভোগ করতে হবে। রাস্তায় এলইডি লাইটের কারণে চালকরা গাড়ি চালাতে পারেন না। সরকারকে বলব- এলইডি লাইট আমদানি বন্ধ করুন, তাহলে সড়কে দুর্ঘটনা কমবে।’
পার্থ সারথি দাসের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক নুরুন্নবী শিমুল, রোড সেফটি অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি আবদুল ওয়াহেদ, মোটর ড্রাইভিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল বাশার প্রমুখ।
জেএন/এফও/এমআর