রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের উপর হামলার প্রতিবাদে আবারও ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
আজ শনিবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দোষীদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তি নিশ্চিত না করায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। মানববন্ধন থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন ইন্টার চিকিৎসকরা।
এতে বক্তব্য রাখেন রামেক হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, রামেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নওশাদ আলী, রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমনার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাসপাতালে এমন সন্ত্রাসী হামলা মেনে নেয়া যায় না। ৩০০ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে মামলা করা হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
এর আগে গত বুধবার রাত আটটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ার হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। এরপর দ্রুত তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রাবির শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাত ১২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এর পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে দোষীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি স্থগিত করে শুক্রবার সকাল থেকে কাজে ফেরেন তারা।
জেএন/এমআর