সাভারের আশুলিয়ায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে নকল ওরস্যালাইন তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। সেখানে এসএমসির ওরস্যালাইনসহ মোট সাতটি কোম্পানির বিভিন্ন নকল পণ্য তৈরি করা হতো।
রোববার (২৪ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি ফাল্গুনী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বিজি প্রেস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামের কারখানাটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কারখানার কেমিস্ট পরিচয়দানকারী অষ্টম শ্রেণি পাস মিরাজুল ইসলাম মোল্লাসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে এ ঘটনায় কারখানাটির পরিচালনাকারী অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জাহিদ, লিপন গাজী ও মোহাম্মদ সাদেক পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড সিনিয়র সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম রিয়াজ বলেন, গোপন সংবাদে আমরা জানতে পারি, অনেক দিন ধরেই আশুলিয়ার এই এলাকা থেকে আমাদের এসএমসি কোম্পানির ওরস্যালাইন-এন ও ইনো নকল করে অবৈধভাবে তৈরি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করা হচ্ছিল।
পরে রোববার কোম্পানির পক্ষ থেকে আমরা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে এখানে আসি। পরে বিজি প্রেস নামে কারখানার সামনে একটি ভ্যানে এসএমসির ওর স্যালাইনের কার্টন পাই।
এরপর ভেতরে প্রবেশ করতেই বিপুল স্যালাইন তৈরির কাঁচামাল ও আমাদের কোম্পানির স্যালাইনের নকল মোড়ক দেখতে পাই। শুধু স্যালাইন নয়, এখানে গ্যাস্টিকের সমস্যায় সেবনে ইনো ও সরবত প্রস্তুককারী ট্যাংক নকলভাবে মোড়কজাত করে মার্কেটে সরবরাহ করতো।
এ সময় আমরা স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে তারা আসেন এবং একজনকে আটকসহ মালামাল জব্দ করেন।
তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই কারখানায় আমাদের কোম্পানির নকল স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছিল। প্রতিদিন ২০০ কার্টন এই অনুমোদিত স্যালাইন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতো। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেব।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সবুর ঢাকা মেইলকে বলেন, নকল স্যালাইন ও ইনো তৈরির কারখানার সন্ধানের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।
এ ঘটনায় কারখানার কেমিস্ট পরিচয়দানকারী মিরাজ ও রুবেল নামে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে