ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার এই সিদ্ধান্তের ফলে ঋসি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মাত্র ৫৯ জন এমপির সমর্থন ছিল, যা প্রযোজনীয় ১০০ জনের থেকে কম।
এদিকে সুনাক ১৫০ জনের বেশি এমপির সমর্থন পেয়েছেন, যা পেনি মর্ডান্টের ২৫ জনের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে ঋসি সুনাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
বরিস বিবৃতিতে বলেছেন, ১০২টি মনোনয়নের খুব উচ্চ বাধা দূর করেছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, এটি এখন সঠিক সময় নয়।
যুক্তরাজ্যের পত্রিকাগুলোও ঋষি সুনাকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শিরোনাম ও খবর প্রকাশ করেছে প্রথম পাতায় করেছে। দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বরিস জনসন নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার হলো ঋষি সুনাকের জন্য।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ডেইলি মিরর ও দ্য সান একই রকম শিরোনাম করেছে। দুটি পত্রিকার শিরোনামে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ঋষি সুনাক। আর ডেইলি এক্সপ্রেসের শিরোনামে বলা হয়েছে, বসির সরে যাওয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে অপেক্ষায় ঋষি সুনাক।
এর আগে ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে অবকাশযাপন শেষে লন্ডনে ফেরেন বরিস জনসন। লন্ডনে ফেরার কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তোড়জোড় শুরু করেন । সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ঋষি সুনাকের সঙ্গেও বৈঠক করেন বরিস।
এদিকে, কনজাভেটিভ পার্টির নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০ এমপির সমর্থন প্রয়োজন হয়। যারা প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অংশ নিতে ইচ্ছুক, তাদের সোমবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে এ সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।
জেএন/এমআর