চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কর্ণফুলী নদীর পানি উপছে কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে জমির ফসল ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তা-ঘাট।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত মধ্য রাত থেকে জোয়ারের পানি গ্রামে ঢুকতে শুরু করে। উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ফলে রান্না ও স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে সকালে স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
জানা গেছে, নদী তীরবর্তী উপজেলার কধুরখীল, চরণদ্বীপ ও খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ও পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকায় বাড়ির উঠান, রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়। অনেকের দোকান পাটে পানি ঢুকে পড়ায় মালামাল নষ্ট হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। তবে পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকায় মঙলবার সন্ধ্যা অবধি পানিতে নামেনি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘর বাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার দুই ওয়ার্ডের মানুষজন পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, নদী তীরবর্তী এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ চলছে। এ মূহুর্তে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলা যাচ্ছে না।
জেএন/এমআর