বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিবাস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তনের (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রেখে সংবিধান পরিবর্তন) মতো দাবির দুঃসাহস কী করে হলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বিএনপিকে মাথা থেকে নামাতে হবে। সংবিধান অনেক কচুকাটা করেছেন। জনগণ সংবিধানকে আর কচুকাটা করতে দেবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার রাজধানীর খিলগাঁও মডেল কলেজ মাঠে খিলগাঁও থানা ও ১ ২,৩ ও ৭৫ নং ওয়ার্ড এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়ন শরীফ আলী খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লেিগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। এ ছাড়াও সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সদস্য সহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই তিনটা সমাবেশ করে বিএনপির ভাবখানা এমন যে তারা ক্ষমতায় এসে গেছে, ক্ষমতা এতো সহজ নয়। আগামী ডিসেম্বরে খেলা হবে রাজপথে।বিএনপি সমাবেশের নামে মানুষের ঢলের কথা বলে; কিন্তু ডিসেম্বরে মানুষের গর্জন শুনতে পাবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, কোথায় আছেন, আসুন একটু খিলগাঁও। এক দিন আগে জনসভা করেছেন, এর তিন ভাগের এক ভাগ লোকও হয়নি। জনস্রোত তো এখনো দেখেননি। ডিসেম্বরে সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাবেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লজ্জা নেই, তাই তারা বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে শুধু দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে। বিএনপি মনে করে ভারত আমেরিকা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে।
বিএনপিকে নালিশ পার্টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের লজ্জা নাই দেশ বিদেশে নালিশ করে বেড়াচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করে। নরেন্দ্র মোদি আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে এমন আশা থেকে বেরিয়ে ভোটের মাঠে আসুন।
দেশের চলামান পরিস্থিতিতে জনগণকে একটু ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণকে বলি, একটু ধৈর্য ধরুন। আপনারা কষ্টে থাকলে শেখ হাসিনার ঘুম হয় না। আপনারা দোয়া করবেন, তিনি যেন সুস্থ থাকেন।
জেএন/এমআর