ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজার ডুবির ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে নিখোঁজ থাকা শেষ ৩ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার হলে এ ঘটনায় মোট মৃত্যু দাড়ায় ৮ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে আনিছ মোল্লাহর ছেলে শাহিন মোল্লাহ (৩৫), রহমান মোল্লাহর ছেলে তারেক মোল্লাহ ( ২২) ও ইউছুফ আলী হালাদারের ছেলে আবুল বশর হাওলাদার (৩৬) এর লাশ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করা হয়।
উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন মিরসরাই ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ ইমাম হোসেন পাটোয়ারী। এর আগে বুধবার রাত ১১টায় নুরুল হক সরদারের ছেলে আলম সরদার (৩৯) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সোমবার উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ৩ নং বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে সাগরের মাঝে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজের বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন রাখা ছিল।
রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে ড্রেজারটি ডুবে গিয়ে ৮ শ্রমিক নিখোঁজ হন। নিখোঁজের একদিন পর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চায়না ৩ নম্বর জেটির কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় সেকান্দার বারির ছেলে শ্রমিক জাহিদ বারির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে খবর পেয়ে উদ্ধারকারী ডুবুরি দল সাগরে ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে বুধবার সকালে আরও ৩টি মরদেহ উদ্ধার করে। তারা হলেন- চর জৈনকাঠি গ্রামের আনিচ মোল্লার ছেলে ইমাম মোল্লা, আবদুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, ফকির রহমানের ছেলে আল-আমিন ফকির।
আজ সর্বশেষ ৩ জনসহ মিরসরাইয়ে ড্রেজারডুবি সকল শ্রমিকের লাশ উদ্ধার সম্পন্ন হয়। নিহত সবাই পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা টানা ৩ দিন নিরলস পরিশ্রম করে ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শ্রমিকেদের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
জেএন/পিআর