প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রোসো ও ডি ককের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাহাড়সম রান টপকাতে গিয়ে নর্টজে ও তাবরেইজ বিষে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের রাইলি রোসোর প্রথম শতকে ভর করে সাউথ আফ্রিকার ছুড়া ২০৬ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হলেও তৃতীয় ওভার থেকে শুরু হয় উইকেট ধস।
কাগিসো রাবাদার প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে পরপর ছক্কা হাঁকিয়ে ১৭ রান তুলেন সৌম্য সরকার। দুই ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬ রান। তবে এর পরপরই ফিরতে হয়েছে সৌম্যকে অ্যানরিচ নর্টজে মারতে গিয়ে ব্যাটার কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে।
৬ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান তিনি।
খানিক পর ওই ওভারেই শান্তও সঙ্গী হন তার। ৯ রানে থাকার সময় স্টাম্প ভেঙে যায় তার। এরপর ফিরে যান সাকিবও। পাওয়ারপ্লের মধ্যে ব্যক্তিগত ১ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেনও।
মিরাজও ১১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। নিচের দিকে কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্তে লিটন ৩৪ রান করার পর শামসিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনিও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
১১ ব্যাটসম্যান মিলেও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের একার রান ছুঁতে পারেননি। ১৭তম ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। হার মানে ১০৪ রানে।
এর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদ ফেরালেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে।
কিন্তু রাইলি রুসো ও কুইন্টন ডি কক বাংলাদেশের আশার আলো নিভিয়ে দিলেন ৮৫ বল ধরে ক্রিজে থেকে। ১৬৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।
এ দিন বাংলাদেশি বোলারদের কাউকেই গুনায় ধরেনি প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রোসো ও ডি কক। আগ্রাসী মেজাজে যখন যেভাবে খুশি ব্যাট চালিয়েছেন কোনো সংকোচ না করেই। রানও এসেছে তাতে।
চলতি বিশ্বকাপে রাইলি রোসোর প্রথম শতকে ভর করে রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেছে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৬ রান। ডি কক ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ৬৩ রানে থামেন। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৩ ছয়।
বিস্ফোরক ছিলেন রুসো। ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে ১০৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৫২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সাকিব আল হাসান দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। শেষ ওভারে দলীয় স্কোর দুইশ পার করে হাসান মাহমুদের শিকার হন এইডেন মার্করাম (১০)।
গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে ১ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৬ রান দেন। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান সাকিব। এছাড়া আফিফ হোসেন ও হাসান নেন একটি করে উইকেট।
জেএন/পিআর