কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্রস প্যাসেজ ও টানেল সংশ্লিষ্ট টোলপ্লাজার নির্মাণকাজও শেষের পথে। এ ছাড়া টানেলে যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক ও পুরকৌশল কাজও প্রায় শেষ হয়েছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে নভেম্বর মাসে দুই টিউবের মধ্যে একটিতে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিসেম্বরে উদ্বোধন করা হবে এই টানেল।
জানা গেছে, দুই টিউব সংবলিত মূল টানেল হবে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। এর মধ্যে টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার ও ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিংকাজ উদ্বোধন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের কাজ উদ্বোধন করেন।
এদিকে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হার সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে এ প্রকল্পে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার জোগান দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। এ টানেল নির্মাণকাজ শেষ হলে এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোনো নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম সুড়ঙ্গ পথ। প্রকল্পের অবশিষ্ট ৮ শতাংশ কাজ শেষ করতে চলছে ব্যাপক কর্মতৎপরতা।
প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণকাজ একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। প্রতিদিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। চলতি মাসে ৯২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পাম্প স্থাপনের কাজ চলছে। দুটি টিউবের চার লেনের কাজ শেষ হলেও এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলছে টোল প্লাজার কাজ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী ও পরিচালক (কারিগরি) কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল যুগোপযোগী করে নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি কাজ করছে। মুখ্যসচিব ডিসেম্বরের মধ্যে টানেলের টিউব খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাই কমিটিকে দ্রুত টোল নির্ধারণে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
জেএন/এমআর