নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে হালিশহর থানা পুলিশ। হালিশহর ১ নম্বর পানিরকল এলাকার নুর বাহারের ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ রাতে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরের আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনী আবাসিক এলাকার মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী আয়েশা আক্তার প্রকাশ ফিরোজা (৩২), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার মধ্যম কাঠাল বাড়ির দেলোয়ার হোসেনর মেয়ে রেহেনা আক্তার মীম(২২), মিরসরাই থানার মটবাড়িয়ার মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩৩), আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ এলাকার গোলাম আওয়ালের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম(৩৭) ও পটিয়ার শান্তির হাট এলাকার তোফায়েল আহমদের ছেলে মোঃ সেলিম(৩৭)।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির উদ্দিন বলেন, পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার শপিং কমপ্লেক্সের নিউ চাঁদনী জুয়েলার্সের মালিক ভিকটিম সঞ্জিত কুমার রায়ের (৫০) মোবাইলে পূর্ব পরিচিত রেহেনা আক্তার মীম (২২) ফোন করে স্বর্ণালংকার বিক্রির কথা জানান। পরে তিনি স্বর্ণালংকারগুলো কিনতে সম্মত হলে মীমের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী হালিশহর থানাধীন নয়াবাজার মোড়স্থ তায়েফ হোটেলের বিপরীত পাশে আধঘণ্টা পরে উপস্থিত হন। তখন মো. নুরুল ইসলাম ও মো. সেলিম নামের দুজন ব্যক্তি ১টি সিএনজি অটোরিকশা করে ভিকটিম সঞ্জিতকে ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে অজ্ঞাত বাসায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ওই বাসায় আয়েশা আক্তার ও রেহেনা আক্তার মীম আসে। পরে তারা তাকে রুমের ভিতর আটকে রেখে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যদি টাকা না দেয় তবে আয়েশা আক্তার ও রেহেনা আক্তার মীমের সাথে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।
তিনি আরও বলেন, সঞ্জিত প্রাণ ও মানসম্মান বাঁচানোর জন্য তাদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিবে বলে তার মোবাইল থেকে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী শংকর দেবকে কল করে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরুরি ভিত্তিতে পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার শপিং কমপ্লেক্স এর নিচে আলিফ হোটেলের সামনে আনতে বলে এবং আমিনুল ইসলাম নামের ১ জন লোক গেলে টাকাগুলো দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
বিষয়টি শংকর দেবের সন্দেহ হলে হালিশহর থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে টাকা নিতে আসা আমিনুল ইসলামকে আটক করেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে হালিশহর ১নং পানিরকল এলাকার নুর বাহারের ভাড়া বাসার ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ও সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
জেএন/এফও/এমআর