চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সরকারী খাস জমি থেকে গর্জন গাছ কাটার সময় মোজাম্মেল হক (৫০) নামের এক শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম চুনতি মিরিখীলের রাঙ্গাপাহাড় এলাকার ফরিদুল আলমের বসতভিটা সংলগ্ন বাগানে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সরকারী খাস ও খতিয়ানভুক্ত যৌথ জমিতে বাগানটি সৃজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত মোজাম্মেল হক কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং লালব্রিজ সংলগ্ন পূর্ব বিন্দাবনখিল এলাকার মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র। তিনি দুই ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম চুনতি মিরিখীল রাঙ্গা পাহাড় এলাকার বদিউর রহমানের পুত্র ফরিদুল আলম চুনতি মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত (সরকারী) বিএস দাগ নং- ৩৭৩৭, ১৯১৩ নং খতিয়ানের বিএস দাগ নং- ৪৫ ও ২৫৩৮ নং খতিয়ানের ৩৭২৮ নং দাগের মোট ১৭.৩০ একর জমিতে বসতঘর, মসজিদ, পোল্ট্রি ফার্ম ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান সৃজন করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে রয়েছে। কিছুদিন আগে বাগানটি চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনুর কাছে বিক্রি করেন। জনু চেয়ারম্যান গত ১০দিন পূর্বে বাগানটি কাটা শুরু করেন। এক পর্যায়ে গতকাল রবিবার বড় একটি গর্জন গাছ কাটার সময় গাছটি উল্টে গিয়ে শ্রমিক মোজাম্মেল হকের মাথার উপর পড়ে মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত মোজাম্মেল হকের ছেলে ইমাম হোসেন জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে জানতাম না। আজ রবিবার বিকেল ৩টার দিকে একটি জীপে করে কয়েকজন লোক আমার বাবার লাশটি বাড়ির পুকুর পাড়ে রেখে চলে যায়। এর পরই জানতে পারলাম গাছ কাটার সময় আমার বাবা গাছ পড়ে মারা গেছেন।
এ প্রসঙ্গে চুনতি বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র (অভয়ারণ্য) রেঞ্জ কর্মকর্তা মো : মাহমুদ হোসাইন জানান, চুনতি মিরিখীলে গাছ কাটার সময় গাছ পড়ে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় গর্জন, জাম, গামারী, সাথিয়ান ও নাগেশ্বরীসহ ১১টি গাছের মোথা জব্দ করেছি। এ ঘটনায় বনায়ন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো : আতিকুর রহমান জানান, নিহত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ও সন্তানরা লাশ গ্রহণ করেছে। তারা পোস্টমর্টেম না করার জন্য আবেদন করেছে। তাই তাদের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি একটি দুর্ঘটনা।
জেএন/এমআর