বলিউড কিং শাহরুখ খানের ৫৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৫ সালের ২রা নভেম্বর নয়াদিল্লির এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এ অভিনেতা।
তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা।
দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।
১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।
একই বছর ‘চমৎকার, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ খান। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়।
তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।
এদিকে তার জন্মদিন ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, শাহরুখের জন্মদিন উদ্যাপন করতে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা মুম্বাইতে এসে জড়ো হয়েছেন।
প্রিয় তারকাকে একনজর দেখার জন্য প্রতিবছর হাজির হন শাহরুখের বাড়ির সামনে। তবে এবার ভক্তরা ৩ দিন আগে থেকে মান্নাতের সামনে ভিড় করতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সহকর্মী, ভক্তদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তিনি। এবারের জন্মদিনটা শাহরুখ ভক্তদের কাছে একটু স্পেশাল। কারণ দীর্ঘ তিন বছর পর প্রিয় তারকার জন্মদিন উদযাপন করছেন তারা।
গত বছর শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার গায়ে ভেসে উঠেছিল জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট পাঁচবার।
জেএন/পিআর