নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর গ্রুপের একমাত্র অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকাকেও থামিয়ে দিয়েছে ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান।
বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার সিডনিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল না। তবে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া সম্পর্কে আগ বাড়িয়ে যে কিছু বলার নেই সেটা আরও একবার প্রমাণ হলো।
টস জিতে ব্যাট করে পাকিস্তান ৯ উইকেটে তোলে ১৮৫ রান। চার উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা দু’বার বৃষ্টির বাধায় ১৪ ওভারে ১৪২ রানের লক্ষ্য পায়।
শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য ৭৩ রান দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। ওই রানের কাছেও যেতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আটকে যায় ৮ উইকেটে ১০৮ রান তুলে।
পাকিস্তানের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ব্যর্থ হন। রিজওয়ান (৪), বাবর আজম (৬) ও শান মাসুদ (২) রানের দেখা পাননি। তবে ফখর জামানের জায়গায় একাদশে ঢোকা মোহাম্মদ হারিস ১১ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। পাকিস্তান ৪৩ রানে হারায় ৪ উইকেট।
ওখান থেকে ইফতিখার ও মোহাম্মদ নওয়াজ দলকে টানেন। তারা ৫২ রানের জুটি গড়েন। স্পিন অলরাউন্ডার নওয়াজ ফিরে যান ২৮ রান করে। ইফতিখার ও শাদাবের পরের জুটি থেকে ৮৩ রান পায় পাকিস্তান।
শাদাব ফিরে যাওয়ার আগে ঝড় দেখান। ২২ বলে চারটি ছক্কা ও দুই চারে ৫২ রান করেন। ইফতিখান খেলেন ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতে দুই সেরা ভরসা কুইন্টন ডি কক (০) ও রাইলি রুশোকে (৭) হারায়। তবে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন।
এইডেন মার্করাম ফিরে যান ২০ রান করে। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়া। বৃষ্টির পরে কঠিন লক্ষ্যটা পাড়ি দিতে পারেননি হেনরিক ক্লাসেন (১৫) ও ত্রিস্টান স্টাবসরা (১৮)।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এনরিক নরকিয়া দারুণ বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ৪১ রান দিলেও তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া রাবাদা, এনগিডি, পার্নেল ও শামসি একটি করে উইকেট নেন।
পাকিস্তানের হয়ে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। শাদাব খান নেন ২ উইকেট। এছাড়া পেসার নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও ওয়াসিম জুনিয়র একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জেএন/পিআর