কয়েকদিন ধরেই বাজারে চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানে চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। এমনকি ডিলার পর্যায়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিনি। এমন অবস্থায় দেশি চিনির দাম কেজিতে ১৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন নতুন এই দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজার মূল্যের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্য রেখে’ প্রতি কেজি দেশি চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ করা হয়েছে।
করপোরেশনের উৎপাদিত প্রতি মেট্রিক টন চিনির দাম মিল পর্যায়ে আগে ছিল ৭৪ হাজার টাকা। দাম বাড়িয়ে এখন তা ৮৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ মিল পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮৫ টাকা।
ডিলার পর্যায়ে প্রতি মেট্রিক টনের দাম ঠিক করা হয়েছে ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনি ডিলাররা কিনতে পারবেন ৮৭ টাকায়।
এ ছাড়া মিলগেইটে ১ কেজির চিনির প্যাকেটের দাম ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯০ টাকা। আর ওই প্যাকেট করপোরেট সুপারশপ বা চিনিশিল্প ভবনের বেইজমেন্ট থেকে কিনতে লাগবে ৯২ টাকা।
বাংলাদেশে চিনির মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই আমদানি করতে হয়। দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় চিনিকলগুলো থেকে আসে সর্বোচ্চ এক লাখ টনের মতো ‘লাল’ চিনি। অপরিশোধিত চিনি আমদানির পর তা পরিশোধন করে দেশীয় মিলগুলো বাজারে সরবরাহ করে।
ডলারের দরের ঊর্ধ্বগতিতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ৬ অক্টোবর চিনির দর কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাতে খোলা চিনির বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ টাকা কেজি, আর প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি হয় ৯৫ টাকা।
জেএন/পিআর