জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার তথাকথিত হিজরতের ডাকে সাড়া দিয়ে নিখোঁজ অর্ধশতাধিক তরুণ যেকোনো সময় হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার হিজরতের ডাকে ঘরছাড়া অর্ধশতাধিক তরুণের খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় নাশকতার শঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘যারা স্বেচ্ছায় নিরুদ্দেশ রয়েছের এমন ৫৫ জনের তালিকা রয়েছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে, আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সংবাদ র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছি- যেহেতু অনেকেই নিরুদ্দেশ রয়েছে, যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। জঙ্গিদের নাশকতার যে বিষয় রয়েছে; সে ব্যাপারে র্যাব ফোর্সেসের সব সময়ই প্রস্তুতি থাকে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার লাকসাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার অর্থবিষয়ক সমন্বয়ক ও হিজরতবিষয়ক সমন্বয়কসহ চারজনকে আটক করে র্যাব। আটকরা হলেন- আব্দুল কাদের ওরফে সুজন ওরফে ফয়েজ ওরফে সোহেল (২৪), ইসমাইল হোসেন ওরফে হানজালা ওরফে মানসুর (২২), মুনতাছির আহমেদ ওরফে বাচ্চু (২৩) ও হেলাল আহমেদ জাকারিয়া (৩৩)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আটক বাচ্চু সংগঠনটির অর্থবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক। সোহেল ও হানজালা হিযরতকারী সদস্যদের সমন্বয়ক। জাকারিয়া সামরিক শাখার তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে দুটি উগ্রবাদী বই, একটি প্রশিক্ষণ সিলেবাস, নয়টি লিফলেট, একটি ডায়েরি এবং চারটি ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
জেএন/এফও/এমআর