উত্তরের জেলা নওগাঁয় নতুন ধান বাজারে আসতে এখনো ১৫-২০ দিন বাকি। এ সময়টাতে চিকন চালের দাম না বাড়লেও মজুত স্বল্পতার কারণে মোটা চালের দাম বেড়েছে। মোকামে পুরনো চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মোটা চালের দাম পাইকারিতে কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এ দাম বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা।
তবে বাজারে মোটা চালের চাহিদা বৃদ্ধিও দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন চালকল মালিক সমিতির নেতারা।
অন্যদিকে সরকার আমন মৌসুমে ধান-চালের দাম নির্ধারণ করে দিলেও চালের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় চালকল মালিকরা। ৪২ টাকা কেজিতে চাল দিতে গেলে এবারও লোকসান গুনতে হতে পারে, এমন আশঙ্কা তাদের।
শহরের পৌর খুচরা বাজারে ভাই ভাই খাদ্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী ছাদেক আলী জানান, স্বর্ণা-৫ মোটা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা কেজি। এছাড়া ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের চাল ৫৫ টাকা, পারিজা ৫২ টাকা, জিরাশাইল ৬০-৬৫ টাকা এবং কাটারি ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের দাম স্থিতিশীল বলে জানান তিনি।
চাল সরবরাহকারী বকুল হোসেন বলেন, পাইকারি মোকাম থেকে চাল কিনে আটটি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে থাকি। চাহিদা বেশি হওয়ায় পাইকারিতে মোটা চাল কেজিতে সর্বোচ্চ এক টাকা বেড়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে- খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। এতে ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে মোটা এবং সরু চালের দামের ব্যবধান অনেক বেড়েছে। এ কারণে অনেক ভোক্তা সরু চাল থেকে মোটা চালের দিকে ঝুঁকেছেন। পাশাপাশি রোপা-আমন মৌসুমে বাজারে মোটা ধান আসতে এখনো প্রায় ১৫-২০ দিন বাকি। এ কারণে বাজারে মোটা চালের দাম পাইকারিতে কেজিতে সর্বোচ্চ এক টাকা বেড়েছে।
জয়নিউজ/পিডি