আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় খেলা হবে। পালাবার দল আওয়ামী লীগ না। পালাবার দল বিএনপি। এবার কোথায় পালাবেন? এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিসেম্বরে খেলা হবে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। উত্তর জনপদে বাঁশের কেল্লা তৈরি করুন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান। তাদের বিচার বন্ধ করতে আইন করেছিলেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের ক্ষমা করা যায় না। শেখ হাসিনার সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে এরা সাধারণ জনগণকে উস্কানি দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা ১৩ বছরে ১৩ দিনও একটি মিছিল বের করতে পারেনি, তারাই আবার আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিজয় মিছিল করবে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছে। কার নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন করবে? শেখ হাসিনা ডাক দিলে ঢাকায় লাখ লাখ লোক বের হবে। অলিগলি ভরে যাবে। বরিশালে নাকি ঢল। কীর্তনখোলার তীরে ঢল। মির্জা ফখরুল রংপুরে এক বস্তা টাকা শেষ করে গেছেন। দুবাইয়ের টাকা বরিশালে উড়ে। মির্জা ফখরুল টাকার ওপর বসে আছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আন্দোলনের নামে যদি আবারও আগুন-সন্ত্রাস করা হয়, মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়, রেললাইন উঠিয়ে ফেলা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ৪১ বছর ধরে সোনার বাংলা গড়ার জন্য নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজ একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বলেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তা আর কখনো হবে না। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে।
সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে। দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারই তারেক রহমানকে পিটিয়ে হুইলচেয়ারে করে এয়ারপোর্টে পাঠিয়েছিল।
সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে পুনরায় সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
জেএন/এমআর