প্রতি কেজি মসুর ডাল ক্রয়ের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৮ টাকা ৯০ পয়সা। কিন্তু তা ক্রয় করা হচ্ছে ১৩২ টাকা দরে। চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত রেশনীদের জন্য মসুর ডাল ক্রয়ের টেন্ডারে এ ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতোমধ্যে খাদ্য সরবরাহকারী এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মরতদের জন্য মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য সম্প্রতি একটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এতে অংশগ্রহন করেছে মের্মাস মাতৃভাষা ট্রের্ডাস (প্রতি কেজি ১১৮.৯০), মের্মাস এমরান এন্টারপ্রাইজ (প্রতি কেজি ১২২.৮০), মের্মাস শাহাজাহান ট্রের্ডাস (প্রতি কেজি ১২৪ টাকা), মের্সাস এমএজি ট্রের্ডাস (প্রতি কেজি ১২৬), মের্সাস ফোকাস (প্রতি কেজি ১২৬.৯৫), মের্সাস মা এন্টারপ্রাইজ (প্রতি কেজি ১৩১.৫০), মের্সাস নজির এন্ড সন্স (প্রতি কেজি ১৩২) ও ফ্রেন্ডশীপ এন্টারপ্রাইজ (প্রতি কেজি ১৪৮ টাকা) তাদের মূল্য তালিকা টেন্ডারের মাধ্যমে জমা করেন৷
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক অতিরিক্ত ১৪ টাকা দরে মের্সাস নজির এন্ড সন্সকে মসুর ডাল সরবরাহের কার্যাদেশ দেন। এতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগ উঠেছে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক ও অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার আবুল হাসেমের যোগসাজশে অতিরিক্ত দরে খাদ্য ক্রয় করা হচ্ছে। এতে সরকার যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি সরবরাহকারী ঠিকাদারদের মাঝেও ক্ষোভ বাড়বে।
টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী মোঃ শরীফ উদ্দিন জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুইজনের কারনে মসুর ডাল সরবরাহের টেন্ডারে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অফিসের দুইজন মোটা অংকের অর্থ নিয়ে বেশি দরে ডাল ক্রয় করছে। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেককে ফোন করা হলে তিনি রেসিভ করেননি।
তবে অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল হাসেম বলেন, মসুর ডাল ক্রয় সংক্রান্তে টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়টি আমি জানি না। আপনারা আমার স্যারের সাথে কথা বলুন বলে ফোন রেখে দেন।
জেএন/এফও/এমআর