কারারক্ষী পদে বদলি ও নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিষয়টি এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জানাতে কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাই কোর্ট বেঞ্চ একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার এ আদেশ দেন।
একইসাথে রুল জারি করে চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। তার সাথে ছিলেন মো. আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ৩১ জুলাই দৈনিক যায়যায়দিনে প্রকাশিত ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদন করেন ভুক্তভোগী জহিরুল।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। আর ইতোমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানির সময় আরো একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনের সারবস্তু উঠে আসে। এর মধ্যে একটি প্রতিবেদনে ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তেও ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জেএন/এমআর