বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী পরশের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আসামি বুশরাকে রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল।
এর আগে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন নিহতের বাবা নূর উদ্দিন রানা।
সকালে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে। বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের বাবা বুশরাসহ অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছি।’
গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে বুয়েটের ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়ার কথা বলে ডেমরার বাসা থেকে বের হন ফারদিন নূর পরশ। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদক।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার একটি পরীক্ষা দিয়ে দুপুরে বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। তবে শুক্রবার সাড়ে এগারোটার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ অবস্থান পাওয়া যায় রামপুরা থানায়। শনিবার নিখোঁজের ডায়েরি হয় রামপুরা থানাতে। দুই দিন পর সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মেলে তার লাশ ।
পরশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. শেখ ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, ফারদিনের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই তরুণ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
জেএন/এমআর