চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন ও প্রচার প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাদের দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি স্বাক্ষরিত উপজেলা আ.লীগের প্যাডে লেখা একটি চিঠিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিষয়টির সত্যাতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৮ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। আমরা চিঠিটি গ্রহণ করেছি। দলীয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বহিষ্কার সুপারিশের তালিকায় রয়েছেন-কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি এস এম ছালেহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ওয়াহেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাফর ইকবাল, সদস্য ও জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক। এছাড়াও সদস্য মহিউদ্দীন ভাণ্ডারী, সদস্য আবদুর শুক্কুরকেও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে দেওয়া ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বার বার সতর্ক করার পরও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়া, সংগঠনের আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। যার কারণে তাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা ও দলীয় শৃঙ্খলার ভঙ্গের দায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ এ আবেদনপত্রটি গ্রহন করেছেন। বাকিটুকু দলীয় সভার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
জেএন/এমআর